বাজার করে আসার পথে জনের গাড়ি খারাপ হয়ে গেলো। সে গাড়ি থেকে নেমে এল। তার বাসা কাছেই। হেঁটে যেতে মিনিট দশেক লাগবে। সে আপাতত গাড়িটা ফেলে রেখে চলেই যেতে পারত। পরে মেকানিক নিয়ে এসে ঠিক করা যেত গাড়িটা। কিন্তু সমস্যা হল সাথে কিছু বাজার আছে। একটা বড় হাঁস, দুইটা মুরগি, একটা বালতি আর পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের ক্যান।
এতগুলা জিনিস কিভাবে নেয়া যায় সে বুঝে উঠতে পারছে না।
রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে সে এটা নিয়ে ভাবছে, এমন সময় খুব সুন্দর এবং বছর চব্বিশের এক মেয়ে তাকে জিজ্ঞেস করল,
-আচ্ছা, ৬৯ নম্বর ফার্মটা কোনদিকে?
-৬৯? আমার বাসার পাশেই। হেটে যেতে বড়জোর দশমিনিট লাগবে। আমিই আপনাকে সাথে নিয়ে যেতাম কিন্তু একটা বড় হাঁস, দুইটা মুরগি, একটা বালতি আর পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের ক্যান নিয়ে হাঁটতে পারছি না।
-এক কাজ করেন। পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের ক্যানটা নেন বালতির ভিতর। মুরগি দুইটা নেন দুই বগলে আর হাঁসটা নেন আরেক হাতে।
বাহ! মেয়েটার বেশ বুদ্ধি আছে। পথে কথাবার্তায় মেয়ের নাম জানা হল জেনি। সে যাচ্ছে কাজিন রনের বাসায়। পথের এক জায়গায় জন বলল, এই রাস্তার পাশ দিয়ে একটা শর্টকাট আছে, এখান দিয়ে গেলে তাড়াতাড়ি হবে।
জেনি বলল, কিন্তু খুব নির্জন মনে হচ্ছে পথটা।
-তাতে কি?
-আপনি একজন যুবক। আমি একজন তরুনী। ধরেন, আপনি যদি নির্জনে আমার সাথে "excuse me, may I" শুরু করতে চান?
-হা হা হা! আমার একহাতে বালতি, যেটার ভিতর পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের ক্যান, আরেক হাতে হাঁস। দুই বগলে দুইটা মুরগি। আমি কিভাবে আপনার সাথে জোর করে কিছু করতে পারি?
-ধরেন, আপনি বালতি থেকে তেলের ক্যানটা বের করে সেটা উল্টিয়ে হাঁসটা রাখলেন। হাঁসটা যেন না পালাতে পারে সেজন্য তেলের ক্যানটা বালতির ওপর রাখলেন। তাহলেই হল।
-ভুল করছেন। দুইটা মুরগি আছে যে, সেগুলার কি করব শুনি?
একটু হেসে জেনি বলল, মুরগি দুইটা না হয় আমিই ধরে রাখলাম!!!